কিমা-ডিমে স্বাদের এক নতুন পরিচয়
কিমা-ডিম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর পারিবারিক খাবার। যা ডিম ও মাংসের কিমার চমৎকার সংমিশ্রণে তৈরি হয়। এই খাবারটি মূলত কিমা দিয়ে তৈরি ঘন গ্রেভিতে সিদ্ধ ডিম দিয়ে পরিবেশন করা হয়। খাসি বা মুরগির কিমা যেকোন টা ব্যবহার করা যায়। তবে খাসির কিমায় এর স্বাদ হয় অতুলনীয়। প্রথমে পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা, লবণ, হলুদ, মরিচ, গরম মশলা দিয়ে কিমা ভালোভাবে কষানো হয়। তবে টমেটো বা দই দেওয়া হয় গ্রেভিতে আলাদা টেক্সচার আনতে।জেনে নেয়া যাক তাহলে কি কি উপকরণ লাগছেে এতে-
উপকরণ
১. মাংসের কিমা- ১ কাপ২. পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
৩. হলুদ গুড়া- সামান্য
৪. ধনিয়া গুড়া- পরিমাণ মত
৫. জিরা গুড়া- ১/২ চা চামচ
৬. কাঁচা মরিচ কুচি- ১/২ চা চামচ
৭. আদা রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ
৮. লবণ- পরিমাণ মত
৯. তেল- ২ টেবিল চামচ
১০. ডিম- ৬ টা
প্রস্তুত প্রণালী
কিমা মশলা সহযোগে আগেই রান্না করে রাখতে হবে। পরে ৬টা ডিম ভাল ভাবে ফেটে নিয়ে ভারী ফ্রাইপ্যানে ঘি দিয়ে ডিম ভাজার মত ভাজতে হবে। ডিম জমাট বাধবার পূবেই রান্না করা কিমা ডিমের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে। ডিম জমাট হলে ভাঁজ ফেলতে হবে। পরে স্লাইস করে কেটে টোষ্ট করা রুটির উপর রেখে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।স্পেশাল ডিনারে এটি রাখতে পারেন অনায়াসে। ডিম ও কিমার প্রোটিন, আয়রন ও অন্যান্য খাদ্যগুণ একে করে তোলে স্বাস্থ্যকরও। স্বাদ, গন্ধ আর পুষ্টির মিলনে কিমা-ডিম হয় সত্যিকারের 'কমফোর্ট ফুড'।
এই রেসিপিতে মাংস ও ডিম ব্যবহার করায় এর পুষ্টিগুণ বেড়ে অনেক।
১. মাংসের পুষ্টিগুণ:
মাংসে রয়েছে প্রোটিন. যা পেশি গঠন ও মেরামতের জন্য অপরিহার্য। রয়েছে আয়রন, জিঙ্ক, ক্রিয়েটিন, কোলাজেন, ফসফরাস ও সেলেনিয়াম। আর আছে ভিটামিন B12, যা স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
২. ডিমের পুষ্টিগুণ:
ডিমকে বলা হয় “নেচারের মাল্টিভিটামিন”। কেননা, ডিমে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন A, D, E, K, ভিটামিন B12, রিবোফ্লাবিন (B2), কোলিন, সুস্থ চর্বি (HDL), অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন ও জেক্সানথিন, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।