Recent

6/recent/ticker-posts

ব্যতিক্রম স্বাদের কৈ করলা পাতার ঝোল


করলা এমনিতেই একটি তিতা সবজি। যদি বলা হয় করলার পাতার ঝোল! অনেকে দেখে হয়তোবা ভাবছেন,এ আবার কেমন খাবার!

 সত্যিই তাই।  দেশের উত্তরবঙ্গে বেশ কয়েকটি জায়গায় এই করলা পাতার ঝোলের অনেক সমাদর রয়েছে। অনেকেই জানতে চেয়েছেন এই ব্যতিক্রমী খাবারটি আসলে কিভাবে রান্না করা হয়। তাই তাদের জন্য আজকের এই রেসিপি। একবার খেয়ে দেখুন, আশা করি অনেক ভাল লাগবে এই মজার রেসিপিটি।

 

একটু বলে রাখি, অনেকে ভাবছেন করলা পাতা পাবেন কোথায়।  সমাধান আপনার বারান্দা বা ছাদবাগান।  ছোট্ট একটি পাত্রে করলার বীজ দিয়ে একটু যত্ন করলেই সহজেই বেড়ে উঠবে তরতাজা করলার গাছ। সেখান থেকেই সংগ্রহ করুন তাজা করলার পাতা।



উপকরণ:

১। কৈ মাছ- মাঝারি আকারের ৪টি
২। করলা পাতা-১৫ থেকে ২০ টি
৩। পিঁয়াজ কুচি- ৪টি
৪। সরিষা বাটা- ১.৫ চা চামচ
৫। জিরা বাটা-১ চা চামচ
৬। লবন- সাবাদ মত
৭। হলুদ-১ চা চামচ
৮। সয়াবিন তেল
৯। কাঁচা মরিচ-৫টি
১০। আলু- ২টি

রন্ধন প্রণালী:
প্রথমে মাছে লবন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আলুতে লবন, হলুদ মাখিয়ে ভাজতে হবে।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে পিঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ হালকা বাদামি করে ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে সরিষা বাটা, জিরা বাটা, লবন, হলুদ দিয়ে একটু ভেজে পানি দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে করলা পাতা, ভাজা আলু, পানি দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখতে হবে। ৫ মিনিট পর ঢাকনা তুলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে আরও ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখতে হবে। এভাবে তৈরি হয়ে যাবে কৈ করলা পাতার ঝোল।
করলার পুষ্টিগুণ: করলার ভিতর রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, পটাশিয়াম এবং ক্যারোটিন।

Post a Comment

0 Comments