দই কিমা রেসিপি: ঘরোয়া উপায়ে মজাদার ও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত করুন
দই কিমা একটি জনপ্রিয় ও সুস্বাদু বাঙালি রান্নার পদ, যেখানে কিমা (মাংসের কিমা) আর টক দই একসাথে মিশে তৈরি করে অসাধারণ স্বাদ ও ঘ্রাণ। এই রেসিপিটিতে দইয়ের টক-মিষ্টি স্বাদ কিমার মসলাদার গন্ধের সঙ্গে মিশে এক দুর্দান্ত সংমিশ্রণ গড়ে তোলে। সাধারণত খাসির কিমা ব্যবহার করে এই পদটি রান্না করা হয়। আদা-রসুন বাটা, পেঁয়াজ এবং বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত মসলা দইয়ের সঙ্গে মিশে একটি ঝরঝরে ও কড়া স্বাদের তরকারি তৈরি করে।ঘরে থাকা সাধারণ উপকরণ দিয়ে অল্প সময়েই আপনি তৈরি করতে পারেন এই রেসিপি। এটি যেমন মুখরোচক, তেমনি পুষ্টিকরও।
দেখে নেই তাহলে কি কি লাগছে, এই রান্না করতে।
উপকরণ
১. গোস্তের কিমা(পছন্দ মত)- ১/২ কেজি২. তেল/ ঘি- ৭৫০ গ্রাম
৩. পেঁয়াজ- ৪।৫ টা
৪. আদা, রসুন বাটা- পরিমাণ মত
৫. গরম মশলা- পরিমাণ মত
৬. লবণ- পরিমাণ মত
৭. দই- ২০০ গ্রাম
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে পেঁয়াজ পাতলা চাক করে কেটে তেল বা ঘি-এ বেরেশতা ভেজে তুলে রাখুন।এবারে গরম ঘি-এ পরিষ্কার করে ধোয়া ও রগবিহীন কিমা সব মশলা সহ দিন। কিমার পানি শুকিয়ে গেলে কিমাতে দই দিন ও কিমা প্রয়োজন মত পানি দিয়ে কষান। এরপর কিমাতে প্রয়োজন মত পানি দিন। পানি শুকিয়ে গেলে কিমা বেশ ভুনা ভুনা করুন ও পরে বেরেশতা ছড়িয়ে নামিয়ে ফেলুন।
কিমা রান্না করবার সময় এতে কিছু আলু বোখারা দিলে খেতে সুস্বাদু লাগবে। এবং পরিবেশনের সময়ে আপনার পছন্দ মত উপকরণ ঝুড়িভাজ, ধনেপাতা বা বিভিন্ন সসও ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে অতিরিক্ত দইও উপরে ঢেলে দিতে পারেন।
দই কিমা পরিবেশন করা যায় গরম ভাত, পরোটা কিংবা নানের সঙ্গে। বিশেষ করে ঈদ, রোজার ইফতার বা অতিথি আপ্যায়নের সময় এই রান্নাটি বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে। যারা ঘরোয়া রান্নায় নতুনত্ব আনতে চান, তাদের জন্য দই কিমা একটি দারুণ পছন্দ হতে পারে।
*দই কিমা* বলতে সাধারণত – দই এবং কিমা (গোশত) দিয়ে তৈরি কোনো খাবার (যেমন: দই কিমা কারি)। তাহলে এই ধরনের খাবারের পুষ্টিগুণ নির্ভর করে উপাদানগুলোর পরিমাণ, প্রস্তুত পদ্ধতি এবং ব্যবহৃত তেল বা মশলার ওপর।
দইয়ের পুষ্টিগুণ
দইয়ে যেসব পুষ্টিগুণ রয়েছেক্যালোরি, প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন B12, B2 (রিবোফ্ল্যাভিন)
প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া:
কিমার পুষ্টিগুণ
কিমায় যেসব পুষ্টিগুণ রয়েছে(চর্বিযুক্ত ২০%)
ক্যালোরি, প্রোটিন, চর্বি, লোহা (Iron), জিঙ্ক, ভিটামিন B12
> যদি মুরগির কিমা হয়, তাহলে ফ্যাট ও ক্যালোরি কম হবে।
দই কিমার উপকারিতা:
১. উচ্চ প্রোটিনযুক্ত হওয়ায় পেশি গঠনে সহায়ক২. প্রোবায়োটিক + প্রোটিন থাকায় হজমে সাহায্য করে
৩. লোহা, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ
৪. ভিটামিন B গ্রুপ প্রচুর
৫. দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে
সতর্কতা:
১. বেশি তেলে বা ঘি-তে রান্না করলে চর্বি ও ক্যালোরি বাড়ে২. উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য কিমা কম চর্বিযুক্ত ব্যবহার করায় ভালো