বাঁধাকপির বড়া রেসিপি | সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বাঁধাকপির বড়া তৈরির সহজ পদ্ধতি

Nahar
0


বাঁধাকপির বড়া রেসিপি | সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বাঁধাকপির বড়া তৈরির সহজ পদ্ধতি

বাঁধাকপির বড়া বাংলা রান্নার অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। এটি সাধারণত ডাল, ময়দা, পেঁয়াজ, রসুন এবং বিভিন্ন মশলা দিয়ে তৈরি হয়, তবে বাঁধাকপি -এর উপস্থিতি এই রেসিপিটিকে এক ভিন্ন মাত্রা দেয়। বাঁধাকপি আমাদের খাদ্যাভ্যাসে অতি পরিচিত একটি উপাদান। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং এটি তৈরির প্রক্রিয়ায় মিষ্টি আর সজি স্বাদ এক অনন্য সমন্বয় তৈরি করে।

বাঁধাকপির বড়ার প্রধান উপকরণ হলো বাঁধাকপি, যা ছোট ছোট টুকরো করে কাটতে হয়। এরপর সেগুলি ডাল, মশলার সাথে মিশিয়ে বড়ার আকার দেয়া হয়। ফ্রাই করার সময় এটি সোনালি রঙের হয়ে ওঠে এবং খেতে খুবই সুস্বাদু।

দেখে নেই তাহলে কি কি লাগছে, এই রান্না করতে।

উপকরণ

১. বাঁধাকপি
২. ডাল (মুগ, মসুর, মটর বা বুট)- পছন্দ মত
৩. শুকনা মরিচ বাটা-( যেমন ঝাল পছন্দ করেন)
৪. আদা বাটা- পরিমাণ মত
৫. লবণ- পরিমাণ মত
৬. জিরা বাটা- পরিমাণ মত
৭. গরম মশলার গুড়া- পরিমাণ মত

প্রস্তুত প্রণালী

বাঁধাকপির বাইরের পাতাগুলো না ফেলে দিয়ে পাতলা মিহি করে কেটে নিন। পানিতে সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিন।

অপর দিকে পছন্দ মত ডাল (মুগ, মসুর, মটর বা বুট) পানিতে ভিজিয়ে (পূর্বেই ভিজিয়ে রাখবেন) নরম হলে বেটে ফেলুন। এখন বাটা ডাল, ভাপিয়ে নেওয়া কপি পাতা, শুকনা মরিচ বাটা, আদা বাটা, লবণ, জিরা বাটা ও গরম মশলার গুড়া এক সাথে মেখে গরম তেলে বড়ার আকারে বাদামী করে ভেজে তুলুন।

বেশিরভাগ সময় এটি নাস্তা হিসেবে কিংবা ঠান্ডা দিনে গরম গরম খাওয়া হয়।

এটি পরিবারের সকলের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং একে সাধারণত ঝাল, টক, আর মিষ্টির মিশ্রণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

বাঁধাকপি (Cabbage) একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি যা নানা রকম স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পরিচিত। এটি মূলত শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। নিচে বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হলো:

বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ

বাঁধাকপিতে যা যা পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়-

শক্তি (ক্যালোরি), জলীয় অংশ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি (Fat), আঁশ (Fiber)

, প্রধান ভিটামিন ও খনিজ উপাদান

স্বাস্থ্য উপকারিতা

এছাড়াও বাঁধাকপিতে রয়েছে-

১. ভিটামিন C- যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

২. ভিটামিন K- রক্ত জমাট বাঁধাতে সহায়ক।

৩. ভিটামিন B6- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

৪. ফোলেট (Folate)- গর্ভবতী নারীর জন্য উপকারী, শিশুর স্নায়ু বিকাশে সহায়ক।

৫. পটাশিয়াম- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৬. ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম- হাড় শক্ত রাখতে সাহায্য করে।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!