মগজ ভাজা – এটি বাংলাদেশের এক বিশেষ ও জনপ্রিয় রেসিপি। যা মূলত গরু বা খাসির মগজ (মস্তিষ্ক) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এটি একটি দারুণ স্বাদযুক্ত ও নরম খাবার, যা মসলা ও ভাজাভুজির সমন্বয়ে ভোজন রসিকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা এনে দেয়। সাধারণত পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শুকনো মরিচ, কাঁচা মরিচ, টমেটো ও বিভিন্ন গরম মসলা ব্যবহার করে মগজ ভাজা রান্না করা হয়।
মগজ প্রথমে ভালোভাবে পরিষ্কার করে সেদ্ধ করতে হয় যাতে এটি ভেঙে না যায়। এরপর হালকা করে ভাজা হয় এবং পেঁয়াজ-মসলা দিয়ে রান্না করে মসৃণ ও মুখরোচক একটি ডিশ তৈরি করা হয়। কখনো কখনো এতে ডিম ভেঙে মিশিয়ে আরো বেশি রিচ ও সুস্বাদু করা হয়। এটি পরোটা, রুটি বা খিচুড়ির সঙ্গে খেতে দারুণ লাগে।
এই খাবারটি কোরবানির ঈদের সময় বিশেষভাবে জনপ্রিয়, কারণ তখন টাটকা মগজ সহজে পাওয়া যায়। যদিও এটি অত্যন্ত স্বাদে ভরপুর, তবু পরিমিতভাবে খাওয়া ভালো, কারণ মগজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে।
দেখে নেয়া যাক, তাহলে কি কি উপকরণ লাগছে এতে
উপকরণ
১. মগজ- ৪ টা
২. পেঁয়াজ (মিহি কুচি)- ৪ টা
৩. মরিচ বাটা- সামান্য
৪. জিরা বাটা- সামান্য
৫. রসুনের কোয়া- ৪ টা
৬. আদা বাটা- সামান্য
৭. হলুদ বাটা- সামান্য
৮. লবঙ্গ- ২ টা
৯. পেপার কর্ণ- ৬টা
১০.লবণ- পরিমাণ মত
১১. তেল- ২ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালি
মগজ ফুটন্ত পানিতে দিন। মগজ পানি থেকে উঠিয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতেকটা মগজ চার ভাগে ভাগ করুন। জিরা বাটা, মরিচ রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদ বাটা, লবঙ্গ, পেপার কর্ণ বাটা অল্প পানি দিয়ে নরম করে নিন ও মগজের টুকরাতে মশলা মাখিয়ে রাখুন।
তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি লাল করুন। এতে মগজ দিন ও মিনিট ১০ পর্যন্ত এটিকে ভাজুন যতক্ষণ পর্যন্ত না মগজ বাদামী হয়। এতে ১ পেয়ালা পানি ও পরিমাণ মত লবণ ও ধনে পাতা কুচি দিন। ঘন হলে নামিয়ে নিন।
পুষ্টিগুণ ও স্বাদের দিক থেকে এটি একটি সম্পূর্ণ খাবার হলেও, এটি এক বিশেষ রুচির ডিশ—সবাই পছন্দ করে না, কিন্তু যারা করে, তাদের জন্য এটি এক বিশেষ উপাদেয় খাদ্য।