“দুধের ঘনত্বে বাঁধা স্বাদের রাজত্ব”

Nahar
0


 মালাই-মেখা পায়েস বাঙালি মিষ্টান্ন সংস্কৃতির এক নরম, আঠালো ও হৃদয়গ্রাহী অভিব্যক্তি। এটি শুধু চাল, দুধ ও চিনি দিয়ে তৈরি নয়—এটি আবেগ ও ভালোবাসার কমোলতায় তৈরি।


তাহলে দেখে নেই, এই নোনতা মাংস তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগছে


উপকরণ

১. দুধ- দেড় লিটার

২. গোবিন্দভোগ চাল- ২০০ গ্রাম

৩. চিনি/খেজুরগুড়- স্বাদ মত

৪. কাজু, কিসমিস ও পেস্তা- পরিমাণ মত


প্রস্তুত প্রণালি

মালাই-মেখা পায়েস বাঙালির অন্যতম মিষ্টি আবেগ। যা দুধের ঘনত্ব আর চালের কোমলতায় তৈরি হয় এক অতুলনীয় স্বাদের পদ। পায়েস তৈরির জন্য প্রথমে পূর্ণচর্বিযুক্ত দুধ দীর্ঘক্ষণ জ্বাল দেওয়া হয়, যতক্ষণ না তার পরিমাণ অর্ধেকে নেমে আসে এবং উপরে জমে ওঠে সোনালি মালাইয়ের পরত। এই দুধে অল্প ঘিয়ে ভাজা গোবিন্দভোগ চাল মিশিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়। চাল ফেটে গেলে দুধের সঙ্গে মিশে তৈরি হয় আঠালো, নরম টেক্সচারের পায়েস। মালাই বারবার তুলে দুধে মিশিয়ে দিলে পায়েসে জমে ওঠে গাঢ় ক্রিমি স্বাদ। এটাই মালাই-মেখা পায়েসের আসল বৈশিষ্ট্য। এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা যোগ করলে সুবাস হয় অনন্য। কেউ কেউ খেজুরগুড় মিশিয়ে শীতকালীন স্বাদ আনেন। সিদ্ধ চাল ও দুধের মিশ্রণ যখন ঘন ও মোলায়েম হয়ে ওঠে, তখন উপর দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ভাজা কাজু, কিশমিশ, বাদাম বা পেস্তা কুচি।  ঠান্ডা করে খেলে এই পায়েসের মালাই আরও জমাট হয়, আর গরমে থাকে দুধের ধোঁয়া-মাখা কোমলতা। 



এগুলো শুধু স্বাদেই নয়, চেহারাতেও পায়েসকে দেয় উৎসবের রূপ। পায়েস গরম খেলে দুধের সুগন্ধে মন ভরে ওঠে, আর ঠান্ডা করলে মালাই জমে মৃদু মিষ্টি আঠালো পরত তৈরি করে, যা একেবারে লোভনীয়।

এই পায়েস শুধু একটি ডেসার্ট নয়—এটি পরিবারের গল্প, উৎসবের শুরু, এবং বাঙালির রান্নাঘরের ভালোবাসার নির্যাস। মালাই-মেখা পায়েস আসলে এক টুকরো মধুর অতীত। যা প্রতিটি মুখে নতুন করে জীবন্ত হয়ে ওঠে।


Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!