ঘন দুধে মজাদার লাচ্ছা সেমাই বাংলার উৎসবমুখর মিষ্টান্ন সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঈদুল ফিতর থেকে শুরু করে ঈদুল আজহা বা যে-কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠান, অতিথি আপ্যায়ন কিংবা হেমন্তের নরম বিকেলে, সুগন্ধ ছড়ানো এই সেমাই মূহূর্তেই পরিবেশে উৎসবের উষ্ণতা এনে দেয়।
তাহলে দেখে নেই, এই লাচ্ছা সেমাই তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগছে
উপকরণ
১. দুধ- ১ কেজি
২. লাচ্ছা- ১ প্যাকেট
৩. চিনি- পরিমাণ মত (যে যেমন মিষ্টি পছন্দ করেন)
৪. এলাচ গুঁড়া- সামান্য
৫. দারুচিনি- ২ টুকরা
৬. কাজু, পেস্তা ও কিসমিসের কুচি- পছন্দ মত
প্রস্তুত প্রণালি
ঘন দুধে মজাদার লাচ্ছা সেমাই বাংলাদেশের ঈদের একটি বিশেষ মিষ্টান্ন। লাচ্ছা সেমাইয়ের চিকন, রোঁয়া রোঁয়া স্তরগুলোকে প্রথমে সামান্য ঘি বা সুগন্ধি সাদা তেল দিয়ে হালকা ভেজে নেওয়া হয়, ফলে সোনালি রং ও বাদামি গন্ধ তৈরি হয়। অন্য একটি পাত্রে দুধকে ধীরে ধীরে জ্বাল দিয়ে আধা পরিমাণে কমিয়ে ফেলা হয়; এই প্রক্রিয়ায় দুধ ঘন হয়ে ক্রিমি টেক্সচার ও ক্যারামেলাইজড স্বাদ লাভ করে। এরপর ভাজা সেমাইয়ের সাথে যোগ করা হয় দুধ, চিনি, এলাচ গুঁড়া, দারুচিনি। মৃদু আঁচে সব উপাদান মিশে গেলে উপরে ছিটিয়ে দেওয়া হয় কাজু, পেস্তা ও কিসমিসের কুচি। ঠাণ্ডা বা গরম—দুটো ভাবেই খেতে দারুণ, তবে ঘন দুধের মোলায়েমতা যখন সেমাইয়ের ফাঁকে জিভে লেগে থাকে।
আধুনিক স্বাস্থ্য সচেতনরা চিনি কমিয়ে বা ব্রাউন সুগার ব্যবহার করে বিকল্প নির্মাণ করছেন। আবার কেউ কেউ এয়ার ফ্রায়ারে সেমাই ভেজে বাড়তি তেল সরিয়ে দিচ্ছেন। যে ভাবেই প্রস্তুত হোক, লাচ্ছা সেমাই আসলে ঘরের উৎসব আর পারিবারিক আমেজকে ধরে রাখে। প্রতিটি চামচে পুরনো স্মৃতি আর নতুন আনন্দ মিলেমিশে উৎসবের রঙ ছুঁয়ে যায়। আর অতিথিদের মুখে অবধারিত হাসি ফোটায়। শীতকালে গুড়ের মোলায়েম মিষ্টিও অনেকে মিশিয়ে দেন, যা স্বাদে আনে গ্রামীণ আভা ও উষ্ণতা। পরিবেশনের আগে ঝরানো পেস্তা কুচি রঙে আনে উৎসব।