![]() |
সুস্বাদু নারিকেল পুলি পিঠা
✅ উপকরণ:
পিঠার খোল (ডো) তৈরির জন্য:
-
চালের গুঁড়া – ২ কাপ
-
পানি – ২ কাপ
-
লবণ – ১ চিমটি
-
সাদা তেল – ১ চা চামচ (ডো মসৃণ করার জন্য)
পুর ভরার জন্য (নারিকেল-গুড়ের মিশ্রণ):
-
ঘন নারিকেল কোরা – ২ কাপ
-
খেজুরের গুড় – ১ কাপ (চিনির বদলে খেজুর গুড় দিলে স্বাদ ও ঘ্রাণ ভালো হয়)
-
এলাচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
-
সামান্য লবণ (স্বাদ বাড়াতে)
🔪 পদ্ধতি (ধাপে ধাপে):
🥥 ১. পুর তৈরির প্রক্রিয়া:
-
একটি প্যানে নারিকেল কোরানো দিয়ে দিন।
-
তার সঙ্গে গুড় ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে মাঝারি আঁচে নাড়ুন।
-
সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে শুকনো হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে রাখুন।
-
এটি হবে পিঠার ভেতরের পুর।
🍚 ২. চালের ডো (খোলস) তৈরি:
-
২ কাপ পানিতে সামান্য লবণ দিন এবং ফুটতে দিন।
-
পানি ফুটলে ধীরে ধীরে চালের গুঁড়া ঢেলে নাড়তে থাকুন যেন দলা না বাঁধে।
-
কিছুক্ষণ নেড়ে নিয়ে ঢেকে দিন ও ৫ মিনিট রেখে দিন।
-
এরপর ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে ময়ান করে একটি মসৃণ ও নরম ডো তৈরি করুন।
-
প্রয়োজনে একটু সাদা তেল মিশিয়ে নিন যাতে ডো হাতে না লাগে।
🔄 ৩. পিঠা গঠন করা:
-
ডো থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিন।
-
প্রত্যেকটা লেচি হাত দিয়ে ছোট রুটির মত বেলে নিন।
-
মাঝে ১ চামচ পুর দিন ও অর্ধেক ভাঁজ করে পুলি আকৃতি দিন।
-
হাত দিয়ে পাশে চেপে বন্ধ করুন, চাইলে ছাঁচ ব্যবহার করতে পারেন।
🍲 ৪. পিঠা রান্না (সিদ্ধ):
-
একটি বড় পাত্রে পানি গরম করে ফুটিয়ে নিন।
-
ফুটন্ত পানিতে পিঠাগুলো সাবধানে ছেড়ে দিন।
-
পিঠা পানির ওপরে উঠে এলে বুঝবেন সিদ্ধ হয়ে গেছে।
-
তুলে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। চাইলে নারকেল দুধে দিয়ে পরিবেশন করুন।
🍽️ পরিবেশন:
-
গরম গরম বা ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করুন।
-
চাইলে সামান্য খেজুরের গুড়ের সিরা ছড়িয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
📌 টিপস:
-
পুর বেশি ভেজা হলে পিঠা ফেটে যেতে পারে, তাই শুকনো পুর ব্যবহার করুন।
-
চালের গুঁড়ো ঘরে তৈরি হলে সবচেয়ে ভালো হয়।
-
চাইলে ভাজাও করে নিতে পারেন, তবে ঐতিহ্যবাহী পুলি পিঠা সিদ্ধ অবস্থায় খাওয়াই বেশি জনপ্রিয়।