“বিকেলের চায়ের প্রিয় সঙ্গী- কাটলেট”

Nahar
0


 কাটলেট বাংলাদেশের পথে ঘাটে, বাসায় বিকেলের নাস্তায় কিংবা বিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে সমান আদরের একটি মুখরোচক স্ন্যাক্স। সাধারণত সেদ্ধ আলু, কিমা বা মাছ, সামান্য গাজর-মটর, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা ও সুগন্ধি মসলা একসঙ্গে মেখে ডিমে ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে ভাজা হয়; ফলে বাইরের স্তরটি হয়ে ওঠে খাস্তা, ভেতর থাকে কোমল ও রসাল। বাঙালির রান্নাঘরে এই পদ শহুরে গ্রহণের পাশাপাশি গ্রামবাংলার উৎসব ও ইফতারির তালিকাতেও ঠাঁই করে নিয়েছে। 


তাহলে দেখে নেই, কি কি উপকরণ লাগছে


উপকরণ

১. হাড় শূন্য মাংসের বড় বড় টুকরা-১ কেজি

২.  আদা- ১ চা চামচ

৩. রসুন- ১ চা চামচ

৪. পেয়াজ বাটা- ২ টেবিল চামচ

৫. দই- পরিমাণ মত

৬. লবণ- পরিমাণ মত

৭.  তেল- পরিমাণ মত

৮. বিস্কিটের গুড়া- পরিমাণ মত

৯. ডিম- ২ টা

১০. কাঁচা মরিচ কুচি- ১ চা চামচ

১১. পুদিনা পাতা কুচি- ১ চা চামচ

১২. কাটা পেঁয়াজ- ১ চা চামচ


প্রস্তুত প্রণালি

মাংসের টুকরা ধুয়ে কাঁটা দিয়ে ভাল মত কেচুন ও অল্প আদা, রসুন, পেঁয়াজের রস, লবণ ও দই দিয়ে মেখে ২ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। এরপর মাংসে অল্প পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন। মাংসে পরিমাণ মত পানি দেবেন যেন মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে যায়। মাংস সিদ্ধ হলে নামিয়ে ফেলুন।


আর একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ বাটা ভেজে আদা, রসুন বাটা অল্প কষিয়ে পরিমাণ মত দই দিন। মশলা কষিয়ে একটি বাটিতে ঢেলে রাখুন। এবারে ডিম ফেটিয়ে নিয়ে ডিমে গোলমরিচ গুড়া মিশ্রিত করুন। এখন সিদ্ধ মাংসের টুকরা ডিমে ডুবিয়ে বিস্কিটের গুড়ায় গড়িয়ে গরম তেলে ভেজে তুলুন। মাংস ভাজবার সময় চুলোর আঁচ কমায় রাখবেন।


এবারে ভাজা মাংসের টুকরাগুলো একটি পাত্রে সাজিয়ে রাখুন ও ওপরে কষান মশলা ছড়িয়ে দিন। এর উপরে ধনে পাতা কুচি, মরিচ, ও পেঁয়াজ কুচি ছড়িয়ে দিন।


বিকেলের নাস্তায় টমেটো সস অথবা কাসুন্দির সঙ্গে গরম কাটলেটের কামড়ে জিভে ঝটকা লাগে মসলার তীক্ষ্ণতা আর আলুর মোলায়েম মিষ্টতা; মাংস বা মাছের উমামি যোগ হলে স্বাদ হয় দ্বিগুণ। আজকাল স্বাস্থ্যসচেতন অনেকে এয়ার-ফ্রায়ারে সামান্য তেল ছিটিয়ে হালকা তাপে কাটলেট বানান। আবার স্কুলের টিফিনে কিশোরেরা চিজ-ভরা ‘স্টাফড’ কাটলেটকে পছন্দের তালিকায় রেখেছে। রেস্তোরাঁয় দেখা মেলে সিফুড কাটলেট—চিংড়ি, কাঁকড়া ও লেমনগ্রাসের গন্ধে ভিন্নমাত্রা যোগ করা হয়। যে-ভাবেই তৈরি হোক, কাটলেট আসলে সামাজিক মিলনের বাহানা; জোরে কামড় দিলে যে ঝরঝরে শব্দ শোনা যায়, সেটিই যেন আড্ডার প্রথম হাসি। বৃষ্টির দিনে কড়াইয়ে তেল-চড়া ধোঁয়া আর গরম চায়ের কাপ হাতে কাটলেট স্মৃতির ফ্রেমে বাড়তি রঙ লাগায়, আর উৎসবের রাতে পোলাওয়ের পাশে এলে এটি হয়ে ওঠে অভিজাত অতিথিয়তা।


Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!